বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২

কফিনবন্দী দেহ দেখে কান্নায় আত্মহারা ঝাঁসিতে ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে মৃত সুকান্ত মন্ডলের মা ও তার পরিবার।

কফিনবন্দী দেহ দেখে কান্নায় আত্মহারা ঝাঁসিতে ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে মৃত সুকান্ত মন্ডলের মা ও তার পরিবার।


 আলামিন সেখ, পলাশিপাড়া: কালী পুজোয় ছেলের ফেরার কথা থাকলেও শনিবার রাতে পলাশিপাড়ার হাঁসপুকুরিয়ায় ফিরল ছেলের দেহ, তবে তা কফিন বন্দি হয়ে। কফিনবন্দী দেহ দেখে কান্নায় আত্মহারা ঝাঁসিতে ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে মৃত সুকান্ত মন্ডলের মা ও তার পরিবার। প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে ববিনার ৫৫ আরমার্ড রেজিমেন্টের নির্দিষ্ট জায়গায় চলছিল ট্যাঙ্কের প্রশিক্ষণ। সেখানে T 90 ট্যাঙ্ক বিস্ফোরনে মৃত্যু হয় সুকান্ত ও এক কমান্ডারের। ঐদিন রাতেই ছুটিতে থাকা পাশের গ্রামে একই রেজিমেন্টে কর্মরত সুমন্ত মন্ডল , সুকান্তর বাড়িতে ওই দুর্ঘটনার খবর দেয়। এরপরেই কান্নায় ভেঙে পরে পরিবার। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ববিনা রেজিমেন্টের সেনা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার সকালে ববিনা থেকে ঝাঁসি , সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লী। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিমানে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে কফিনবন্দি দেহ রওনা দেয় হাঁসপুকুরিয়ার উদ্দেশ্যে। রাত সাড়ে ৯ টার সময় গ্রামে এসে পৌঁছায় দেহ। সেখানে রাজ্য পুলিশ ও সেনার তরফে সুকান্তকে সম্মান জানাতে গান স্যালুট দেওয়া হয়।

শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

স্ত্রীকে দিয়ে স্ত্রীর প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে এনে খুন করল স্বামী।

  এন. বিশ্বাস -ঃ-নদীয়া-ঃ মুন্ডু কেটে তান্ডব। স্ত্রীকে দিয়ে স্ত্রীর প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে এনে চারজনে মিলে প্রেমিকের দেহ ও মুন্ডু আলাদা করে কেটে খুন করল স্বামী। নদীয়ার ধুবুলিয়ার প্রহ্লাদ ঘোষএর স্ত্রী নমিতা ঘোষ বেশ সুখে জীবন যাপন করছিলেন হঠাৎ এই প্রতিবেশী বাবুসোনা ঘোষ এর সঙ্গে নমিতা দেবীর মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়। এটা প্রহ্লাদ বাবু জানতে পারেন। জানার পর বারবার বারণ করা সত্ত্বেও বাবুসোনা ঘোষ রাজি হননি সেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে শেষ পর্যন্ত স্ত্রী নমিতা ঘোষকে দিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পীরপুরে নিজের বাড়িতে ডেকে আনে বাবুসোনাকে। প্রেমের টানে নমিতা দেবীর কোথায় চলে আসে বাবুসোনা । এরপর বাড়ির কাছে কলাবাগানে প্রহ্লাদ ঘোষ প্রসেনজিৎ ঘোষ , শঙ্কর ঘোষ এবং নমিতা ঘোষ মোট চারজন মিলে প্রথমে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে । পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বাবুসোনার দেহ থেকে মুন্ডুটাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে আলাদা করে এবং দেহটাকে মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ থেকে জামা কাপড় খুলে প্রায় ২০০ মিটার দূরে পুতে দেয়,তারপর  মুন্ডুটাকে বাড়ি থেকে  আরও প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি আম বাগানে গর্তে পুঁতে রাখে।  কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত নেমে প্রথমে প্রহ্লাদ ঘোষকে ধুবুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে এবং তার স্ত্রী নমিতা ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশের যে রায় স্বীকার করে । আজ প্রথমে পুলিশ মুন্ডুটা উদ্ধার করে এরপর এলাকার ধৃত প্রহ্লাদকে নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে কাছে যায় দেহ উদ্ধার করার জন্য। এখনো পর্যন্ত বাবুসোনার দেহ তল্লাশি শুরু করলেও উদ্ধার করতে পারেনি।

কফিনবন্দী দেহ দেখে কান্নায় আত্মহারা ঝাঁসিতে ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে মৃত সুকান্ত মন্ডলের মা ও তার পরিবার।

কফিনবন্দী দেহ দেখে কান্নায় আত্মহারা ঝাঁসিতে ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে মৃত সুকান্ত মন্ডলের মা ও তার পরিবার।   আলামিন  সেখ , পলাশিপাড়া:   কালী পুজোয...